না, এটা আমার কথা নয়, বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় তিনটি আইটি কোম্পানি গুগল, আইবিএম ও অ্যাপেল ঘোষণা করেছে ‘It’s All About Skills Now – Google, IBM, Apple No Longer Require College Degree’, কলেজ ডিগ্রির আর প্রয়োজন নেই, এখন সবকিছুই দক্ষতানির্ভর উল্লেখ্য, পশ্চিমা বিশ্বে ‘কলেজ’ বলতে ইন্টারমিডিয়েটের পরে করা চার বছরের অনার্স ডিগ্রি, যেটা কলেজ বা ভার্সিটি থেকে অর্জন করতে হয়, সেটাকে বোঝানো হয়ে থাকে।
তারা তাদের প্রতিবেদনটিতে লিখেছে যে, অনেকেরই ধারণা, যেসব শিক্ষার্থী কম নম্বর পেয়ে পাস করে কিংবা কঠিন বিষয়গুলো এড়িয়ে পড়াশুনা করে, তারা কম স্মার্ট, সেইসব কঠিন বিষয়গুলো ভালো চাকরি পেতে সাহায্য করে বলে অনেকের ধারণা- এই ধারণাটি ভুল বলে প্রমাণিত হয়েছে। কারণ লোকে সেইসব ‘কম স্মার্ট’ মানুষগুলোকে চিনতে ভুল করেছে এবং বুঝতে পারেনি যে, প্রত্যেকটি মানুষই তার নিজ অঙ্গনে অন্যদের চেয়ে বেশি স্মার্ট! আজ যারা বিশ্বে বিখ্যাত হিসাবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন, তারা কিন্তু কলেজ/ভার্সিটির সেইসব ‘বাদ’ পড়ে যাওয়াদেরই কেউ! কিন্তু তারা তাদের ডিগ্রির জোরে সফল হননি, তারা নিজেরা যেসব বিষয়ে আগ্রহী বা কিছুটা জানতেন, সেসব বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করে সফল হয়েছেন। প্রতিবেদনটিতে এমন আরো অনেক কথা লেখা রয়েছে, তবে আমি আর সেসবে যাচ্ছি না, যারা আগ্রহী, পড়ে নিতে পারেন।
স্বাভাবিকভাবেই তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর উপর্যুক্ত তিনটি বিশ্ববিখ্যাত কোম্পানি যে “দক্ষতা”র কথা বলেছে, সেটা আইটি বা কম্পিউটর সম্পর্কিত কোনো দক্ষতার কথাই। আসলেই, এখন সারা বিশ্বেই সবাই দক্ষ মানুষের খোঁজ করে চলেছে। কলেজ বা ভার্সিটি ডিগ্রি এমনকি ডক্টরেট নিয়েও যদি কেউ সামান্য কম্পিউটারে ওয়ার্ড, এক্সেল, পাওয়ারপয়েন্টে কাজ করতে না পারে, তাহলে কী করে হবে?
আগেকার দিনে ‘স্টেনোগ্রাফার’, ‘শর্টহ্যান্ড রাইটার’,‘টাইপিস্ট’ এমন অদ্ভুত অদ্ভুত পদের জন্য মানুষ নেয়া হতো এবং তাদের কাজই ছিল সেই কাজটি করা। অর্থাৎ উপরস্থ কর্মকর্তা হয়তো মুখে বলে গেলেন, স্টেনোগ্রাফার বা তার শর্টহ্যান্ড (এক ধরনের বিশেষ চিহ্ন/অক্ষর ব্যবহার করে সংক্ষেপে লেখা) জানা পিএ সেটা লিখে টাইপিস্টকে দিল, টাইপিস্ট টাইপ করে কর্মকর্তাকে দিল। এরপরে কারেকশন, আবার টাইপ, আবার কারেকশন আবার টাইপ… এভাবেই চলতে থাকতো। এখনকার দিনে এটা ভাবা যায়? হ্যাঁ, শর্টহ্যান্ড লেখার প্রচলন এখনো আছে, তবে সেটা বিশেষ কোনো কাজে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু বর্তমানে যেকোনো অফিসের যে কোনো পর্যায়ের কর্মকর্তাই তার লেখাটি নিজেই টাইপ ও এডিট করে চূড়ান্ত করেন, এমনকি পাওয়ারপয়েন্টের মাধ্যমে প্রেজেন্টেশন তৈরি করে অন্যদের ব্রিফ করেন। মোটকথা, এখন যেকোনো পদের জন্য শিক্ষা থাকলেই হবে না, তাদের কম্পিউটারের এসব ব্যাসিক বিষয় জানতেই হবে। এটাকে দক্ষতা নয়, ‘প্রয়োজনীয়তা’ হিসাবে ধরা হয়।
কিছুদিন আগে সময় ব্যবস্থাপনা নিয়ে আমি ‘টাইম নাই, টাইম নাই’ শিরোনামে একটি প্রবন্ধে (নহলী, জানুয়ারি ২০২০ সংখ্যা সাময়িকীতে এবং ফেসবুকে) লিখেছি ‘… তাছাড়া ছুটির দিনগুলোতে আনন্দ যেমন করবেন, যেকোনো একটা বিষয়ে দক্ষতা অর্জনের চেষ্টাও করুন। আজকাল আর “আমি অমুক সাবজেক্টে মাস্টার্সে প্রথম শ্রেণিতে পাস করেছি”র কোনো দাম নেই, যখন আপনি সামান্য এমএস ওয়ার্ড ও এক্সেলই জানেন না!…’ প্রত্যেকটি তরুণকে তাদের লেখাপড়ার পাশাপাশি কোনো একটা বিষয়ে দক্ষতা অর্জনের ব্যাপারে গুরুত্ব আরোপ করেছি।
আমার বয়স ষাট বছর, অথচ নিজের স্বার্থেই এখনো আমি প্রায় প্রতিদিনই কিছু একটা শিখে চলেছি। যেমন, সম্প্রতি নহলীর ক্রিয়েটিভ রাইটিং কোর্সের অনলাইন ক্লাসগুলোর ভিডিও ইউটিউবে আপলোড করার জন্য ভিডিও এডিটিং জানাটা খুবই প্রয়োজনীয় ছিল, অথচ এটার ব্যাপারে আমার বিন্দুমাত্র জ্ঞান ছিল না। আমারই এক শিক্ষার্থী আমাকে একটা সফটওয়্যারের নাম বলার পর আমি সেটা ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করে, ইউটিউবের টিউটোরিয়্যাল থেকে তিনদিনেই মোটামুটি কাজ চালানোর মতো এডিটিং শিখে ফেলেছি। এর আগে বইয়ের কভার ডিজাইন, আমার বিভিন্ন ব্যবসার জন্য ব্রোশিউর, লিফলেট, ভিজিটিং কার্ড, ফেসবুক অ্যাড ইত্যাদি বানাতে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আমি একই জায়গা থেকে এডোবি ফটোশপ, ইলাস্ট্রেটর ও ইন-ডিজাইন শিখেছি। এসব শেখার প্রেক্ষাপট হিসাবে আমি বছর দুয়েক আগে ‘আউটসোর্সিং, কমিটমেন্ট এবং…’ শিরোনামে ফেসবুকে একটা প্রবন্ধ পোস্ট করেছিলাম (আলোকের এই ঝর্ণাধারায় বইতেও আছে), যেখানে আমি বলেছি যে, প্রফেশনাল হিসাবে পরিচিত কতিপয় ‘বিশেষজ্ঞের’ কমিটিমেন্ট রক্ষায় নির্লিপ্ততা ও অবহেলার কারণে কতটা হেনস্থা হওয়ার পর আমি নিজেই নিজের কাজটা করা শিখতে বাধ্য হয়েছিলাম।
আমি শিখেছিলাম আমার টিকে থাকার প্রয়োজনে, কিন্তু তোমরা (আমি বিশেষ করে তরুণ/তরুণীদের বলছি) শিখবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে, স্বাবলম্বী করতে। কলেজ বা ভার্সিটিতে পড়ার সময় বাবার কাছে গাড়ি ভাড়া ও হাতখরচ হিসাবে দৈনিক ভাতা হিসাবে টাকা চাওয়াটা কতটা অযৌক্তিক এবং সেটা একজন মধ্যবিত্ত বাবার ওপরে কতটা চাপ ফেলে, সেটা তোমাকে বুঝতে হবে। এমনকি সেলফ-রেসপেক্ট বা আত্মসম্মানবোধ বলে একটা কথা আছে। তুমি নিজেই একবার ভেবে দেখ, বাবার কাছে চাওয়া টাকাটা কি তুমি একটু চেষ্টা (এবং কষ্ট!) করলেই আয় করতে পারতে না? কোনো দক্ষতা অর্জন করে হলে তো কথাই নেই, নিদেনপক্ষে দুটো টিউশনি করে! আর এখনকার সময়ে ‘ফ্রিল্যান্সিং’ তো তরুণদের জন্য সীমাহীন এক সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত করে দিয়েছে! এটা শুধুমাত্র মধ্যবিত্ত বা নিম্নবিত্ত পরিবারের সদস্যদের নয়, উচ্চবিত্তের তরুণদের জন্যও একই উপদেশ প্রযোজ্য, কারণ তোমাদেরও একই পরিমাণে আত্মসম্মানবোধ থাকার কথা!
নহলীতে এলে তরুণ-তরুণীদের আমি যখন এসব বলি, তাদের অনেকেই বলে, “স্যার, সময়ই তো পাই না, এসব করবো কখন?” তাদের জন্য আমার উপদেশ- তাহলে আগে সময় ব্যবস্থাপনা শিখে আসো। সময়ের সঠিক ব্যবস্থাপনা বা ব্যবহার হলো সবকিছুর মূলে। সেটা সম্ভব, অপ্রয়োজনীয় কী কী আছে সেগুলোকে চিহ্নিত করে বাদ দিয়ে (বা কমিয়ে) এবং প্রয়োজনীয় বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিয়ে একটি পরিকল্পনা তৈরির মাধ্যমে। আবার অনেকেই প্রশ্ন করে, কীভাবে বা কোন বিষয়ের ওপরে দক্ষতা অর্জন করবো?
প্রতিটি মানুষকেই সৃষ্টিকর্তা কোনো না কোনো একটা (বা একাদিক) বিষয়ে জ্ঞান বা দক্ষতা দিয়েছেন, যেটার ব্যাপারে হয়তো সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরই ধারণা নেই, কারণ সে কখনোই সেটা নিয়ে কোনো চর্চা করেনি। তোমার ভেতরেও অবশ্যই কোনো না কোনো একটা লুকায়িত প্রতিভা বা হিডেন ট্যালেন্ট আছে, যেটা তোমাকেই খুঁজে বের করতে হবে। তুমি সেই কাজটিই করবে, যেটা করে তুমি আনন্দ পাবে।
বর্তমানে দেশে এবং সারা বিশ্বেই যেকোনো টেকনিক্যাল বিষয়ে, যেমন কম্পিউটার বা আইটি সম্পর্কিত যে কোনো বিষয়েই দক্ষতা অর্জন অনেক সহজ এবং এর চাহিদাও গাণিতিক হারে বেড়ে চলেছে। বিশেষ করে আউটসোর্সিং এবং ফ্রিল্যান্সিং এর প্রভাবে বর্তমানে তরুণ তো বটেই যেকোনো বয়সের মানুষই ঘরে বসেই কিছুটা দক্ষতা অর্জন করে কিছু একটা শুরু করতে পারে। গুগল, আইবিএম ও অ্যাপেলও নিঃসন্দেহে এমন কোনো দক্ষতার ব্যাপারেই ইঙ্গিত করেছে।
প্রাথমিকভাবে আমি রেকমেন্ড করব, গ্রাফিক্স ডিজাইন সম্পর্কিত প্রোগ্রাম, যেমন এডোবি ফটোশপ, ইলাস্ট্রেটর, ইন-ডিজাইন ইত্যাদি শিখে ফেলতে। কিংবা আরেকটু এগিয়ে যেতে চাইলে বা এসব এরইমধ্যেই জানা থাকলে বিভিন্ন প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ, ওয়েব ডিজাইন, লোগো ডিজাইন এবং অটো-ক্যাড ধরনের সফটওয়্যারগুলো শেখা যেতে পারে। যাদের কাছে এসব কঠিন মনে হয় তারা তবে ফ্রিল্যান্সিং-এ এত সহজ সহজ সব বিষয় আছে, যেমন তোমার অতি পরিচিত ওয়ার্ড এক্সেল, পাওয়ারপয়েন্ট বা ডিজিটাল মার্কেটিং, কন্টেন্ট রাইটিং, ভার্চুয়্যাল এসিসটেন্ট ইত্যাদি বিষয়ে শিখতে এক সপ্তাহও লাগবে না।
অনেকের কাছে হয়তো মনে হবে, ‘এত কঠিন জিনিস আমি কী করে শিখব?’ আমার মতো বয়স্ক মানুষ যদি ফটোশপ, ইলাস্ট্রেটর, ইন-ডিজাইন, অটো-ক্যাড প্রতিটি পনেরো দিনেরও কম সময়ে কাজ চালানোর মতো শিখে ফেলতে পারে, তোমাদের সজীব, তরুণ ব্রেইন ও মেধা দিয়ে সেটা এর চেয়েও কম সময়ে বা ঐ সময়ে আরো ভালো করে শিখে ফেলা সম্ভব। প্রয়োজন হলো শেখার ইচ্ছেটা।
এসব শিখবে কোথায়? ফার্মগেটের কোনো কানাগলিতে গিয়ে পাঁচ/দশহাজার টাকা খরচ করে ‘গ্যারান্টি সহকারে’ শেখার কোনোই প্রয়োজন নেই। ‘গ্যারান্টি’ আমি তোমাদের দিচ্ছি। পনেরো থেকে ত্রিশ দিনে তোমরা এসবকিছুই ইউটিউব থেকে শিখতে পারবে। কারণ আমি ওখান থেকেই শিখেছি।
এখানে তিনটি বিষয় খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত, তোমাকে আগে ঠিক করতে হবে, তুমি কোন বিষয়টা শিখতে আগ্রহী, বা কোন কাজটা করতে তুমি আনন্দ পাবে। দ্বিতীয়ত, একসাথে সবকিছু শেখার চেষ্টা করবে না, প্রতিবার একটি একটি করে বিষয় শিখবে এবং তৃতীয় বিষয়টা হলো, একমাসের প্রশিক্ষণে তুমি একেবারে ‘এক্সপার্ট’ হয়ে যাবে, এমনটা আশা করো না। যেকোনো কাজই শেখার পর, সেটা নিয়ে অনুশীলন করলেই দক্ষতা ধীরে ধীরে বিকশিত হয়। তাই যেটা শিখবে, সেটা নিয়ে প্রচুর অনুশীলন করবে এবং একসময়ে দেখবে, আপনাতেই তুমি পেশাদার হিসাবে কাজটি করা শুরু করে দিয়েছ!
তুমি যেকোনো একটা বিষয়ে দক্ষতা অর্জনের জন্য লক্ষ্য নির্ধারণ কর, সময় বা ডেডলাইন সেট কর এবং একাগ্রচিত্তে বিষয়টা শেখার চেষ্টা কর। দেখবে এটা কোনো কঠিন বিষয়ই না। ‘ইশ, বেশি দেরি হয়ে গেল, আরো আগেই কেন যে শুরু করলাম না’ বলেও কোনো লাভ নেই। কারণ যে সময়টা চলে গেছে, সেটার জন্য আফসোস না করে এখনই যদি শুরু করো সেটাও ভালো, ‘বেটার লেট দ্যান নেভার’!
কম্পিউটারের বিভিন্ন বিষয় শেখার পাশাপাশি আরেকটি বিষয়ে দক্ষতা অর্জন এখন সময়ের দাবি। আর তা হলো ইংরেজি ভাষা শেখা। ইংরেজি শিখলে বাংলা ভাষাকে কোনোভাবেই ছোট করা হয় না। এটা নিয়ে অনেক বিতর্ক ও আবেগের কথা আমরা আগেও অনেক শুনেছি, কিন্তু বাস্তবতা হলো, বর্তমান বিশ্বে ও বর্তমান সময়ে টিকে থাকতে বা উন্নতি করতে চাইলে ইংরেজি শেখার কোনো বিকল্প নেই। বিশেষ করে ফ্রিল্যান্সিং করতে চাইলে ইংরেজি জানতেই হবে। এখন আমাদের জগত দেশ পেরিয়ে সারা বিশ্বে ছড়ানো। তাই সবাইকে অবশ্যই ইংরেজি ভাষায় যথেষ্ট দক্ষতা অর্জন করতে হবে। এটা বলা, পড়া, লেখা এবং বোঝা এই চারটি ক্ষেত্রেই একইরকম গুরুত্বপূর্ণ।
সময় ব্যবস্থাপনা নিয়ে লেখা আমার সেই পোস্টটিতে একটা বিষয় বলা হয়েছে – প্রোকাস্টিনেশন, যার অর্থ দীর্ঘসূত্রিতা বা সময়ক্ষেপণ। ‘আগামীকাল থেকে শুরু করবো’ বললে কখনোই হবে না। যদি কিছু করতে চাও, সেটা আজ, এখন থেকেই করতে হবে। কারণ আগামীকাল বলে আসলে কোনো দিন নেই। আগামীকাল যখন আসবে, তখন কাল হয়ে যাবে তার পরের দিন, তার পরেরদিনের আগামীকাল হবে সেইদিনের পরের দিন… অর্থাৎ আগামীকাল বলে যে একটা ‘কাল্পনিক’ দিন আছে, সেটা সবসময়ই একদিন পেছাতে থাকে!
সবার আগ্রহের জায়গা যেমন ভিন্ন হবে, সবার শেখার গতি বা অগ্রগতিও একরকম হবে না। তবে তোমার আগ্রহের জায়গা কোনটা এবং তোমার সীমাবদ্ধতাটা কোথায়, সেটা তোমার চেয়ে ভালো কেউ জানে না। তাহলে তোমার সেই হিডেন ট্যালেন্টটাকে বের করে আনো এবং সেই বিষয়ে দক্ষ হয়ে ওঠো।
এরপরে তোমার আর কাজ খুঁজতে হবে না, কাজই তোমাকে খুঁজে নেবে!