দেশের চারটি বেসরকারি এয়ারলাইনসের কাছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) পাওনা ১ হাজার ২২২ কোটি ৯৮ লাখ টাকার বেশি। আজ রোববার জাতীয় সংসদে বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ তথ্য উপস্থাপন করে বেবিচক।
এ চারটির মধ্যে নভোএয়ার বাদে রিজেন্ট, ইউনাইটেড ও জিএমজি এয়ারলাইনস বন্ধ আছে। অন্যদিকে ইউএস বাংলা এয়ারলাইনস ও এয়ার এসট্রার কাছে বেবিচকের কোনো পাওনা নেই বলে সংসদীয় কমিটিকে জানানো হয়েছে।
গত জুলাই মাসে অনুষ্ঠিত বৈঠকে দেশীয় বেসরকারি এয়ারলাইনস কোম্পানিগুলোর কাছে বেবিচক কত টাকা পায়, তা জানতে চেয়েছিল বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি। আজ জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে এ–সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন দেয় বেবিচক।
বেবিচকের প্রতিবেদনে বলা হয়, রিজেন্ট এয়ারওয়েজ, নভোএয়ার, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ ও জিএমজি এয়ারলাইনসের কাছে মোট ১ হাজার ২২২ কোটি ৯৮ লাখ ২৫ হাজার ৯২৬ টাকা পাওনা আছে বেবিচকের। গত মে পর্যন্ত হিসাবে ইউএস বাংলা ও এয়ার এস্ট্রার কাছে কোনো পাওনা নেই। বাংলাদেশে বর্তমানে ইউএস–বাংলা, এয়ার এস্ট্রা ও নভো এয়ার নিজেদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
সংসদীয় কমিটিতে বেবিচকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, রিজেন্ট এয়ারওয়েজের কাছে বেবিচকের পাওনা আছে ৪০৮ কোটি টাকার বেশি। জিএমজি এয়ারলাইনসের কাছে পাওনা আছে ৩৯৬ কোটি টাকার বেশি। ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের কাছে বেবিচক পাবে ৩৮৮ কোটি টাকার বেশি। আর নভো এয়ারের কাছে পাওনা আছে ২৯ কোটি ৪৭ লাখ টাকার বেশি।
সংসদ সচিবালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যে সব প্রাইভেট বিমান সংস্থার কাছে বেবিচকের টাকা পাওনা আছে তা আদায়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করে কমিটি। বৈঠকে কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে শহরে প্রবেশ করার রাস্তাটি জরুরি ভিত্তিতে প্রশস্ত করাসহ এর সৌন্দর্য বৃদ্ধি, সমুদ্র সৈকতের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা ও পারস্পরিক সমন্বয় রেখে কার্যক্রম বাস্তবায়ন করার সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে সেন্টমার্টিন দ্বীপকে পর্যটনবান্ধব দ্বীপ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে রাস্তাঘাট সংস্কার ও সম্প্রসারণসহ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও আধুনিক ড্রেনেজ ব্যবস্থা, টেকনাফ ও সেন্টমার্টিন দ্বীপে অবস্থিত জেটি দুটি অতি দ্রুত সংস্কার ও নতুন জেটি নির্মাণ এবং সেন্টমার্টিন দ্বীপের চারদিকে ওয়াকওয়ে নির্মাণ বিষয়ে আলোচনা হয়।
কমিটির সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকে আরও অংশগ্রহণ করেন কমিটির সদস্য মোশাররফ হোসেন, আশেক উল্লাহ রফিক, সৈয়দা রুবিনা আক্তার, কানিজ ফাতেমা আহমেদ।