কৃষ্ণ সাগরের একটি নতুন রুট ব্যবহার করে প্রথমবারের মতো দুটি কার্গো জাহাজ ইউক্রেনীয় বন্দরে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেনীয় বন্দর কর্তৃপক্ষ।
বিবিসি জানায়, শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) জাহাজ দুইটি ইউক্রেনের চর্নমোর্স্ক বন্দরে পৌঁছেছে। এ জাহাজ দুটিতে বিশ্ববাজারের জন্য ২০ হাজার টন গম লোড করা হবে।
এর আগে, এ করিডরটি কেবল ইউক্রেন থেকে কোনো জাহাজ ছেড়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হতো। দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী অলেক্সান্ডার কুব্রাকভ জানিয়েছেন, ওশানিক আইল্যান্ড দেশ পালাউয়ের পতাকাবাহী রেসিলেন্ট আফ্রিকা এবং আরোয়াট নামে জাহাজ দুইটিতে ক্রু হিসেবে ইউক্রেন, তুরস্ক, আজারবাইজান ও মিশরের নাগরিক রয়েছেন।
জাহাজ দুটি ইউক্রেনের গম মিশর ও ইসরায়েলে সরবরাহ করবে বলে জানিয়েছে দেশটির কৃষি মন্ত্রণালয়।
ইউক্রেনের বন্দরগুলো থেকে নিরাপদে শস্য রফতানির জাতিসংঘ সমর্থিত চুক্তি থেকে রাশিয়া সরে আসার পর একতরফাভাবে সামুদ্রিক করিডরের ঘোষণা দেয় কিয়েভ। এ করিডরের অবস্থান কৃষ্ণসাগারের পশ্চিম উপকূল ঘেষে।
শস্যচুক্তি বাতিলের পর থেকে ইউক্রেনে আসা বেসামরিক জাহাজগুলোকে সম্ভাব্য সামরিক লক্ষ্যবস্তু হিসেবে বিবেচনা করার হুমকি দিয়ে এসেছে রাশিয়া।
ইউক্রেন হচ্ছে সূর্যমুখী তেল, বার্লি, ভুট্ট এবং গমের মতো ফসলের বিশ্বের বৃহত্তম সরবরাহকারী। তবে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে মস্কোর আক্রমণের পর রাশিয়ার নৌবাহিনী দেশটির কৃষ্ণসাগরে অবস্থিত বন্দরগুলো অবরোধ করে রাখে। এতে সেই বন্দরগুলোতে রফতানিযোগ্য ২০ মিলিয়ন টন শস্য আটকা পড়ে।
যার প্রভাব পড়ে বিশ্ববাজারে। বিশ্বে খাদ্যের দাম বাড়তে থাকে এবং মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকান দেশগুলোতে খাদ্য ঘাটতির ঝুঁকি দেখা দেয়। কেননা, এ দেশগুলো ইউক্রেন থেকে একটি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে খাদ্য আমদানি করে।