বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে রাজশাহী অভিমুখে যাত্রা শুরু করেছে দলের তিন সংগঠন যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল আয়োজিত ‘তারুণ্যের রোডমার্চটি’।
রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) বগুড়া চারমাথায় বিএনপির পূর্বঘোষিত তারুণ্যের রোডমার্চ কর্মসূচির দ্বিতীয় দিন উদ্বোধন করেন দলটির মহাসচিব। এরপর শুরু হয় রাজশাহীর উদ্দেশে যাত্রা।
জনগণের ভোটাধিকার ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিএনপির তিন সহযোগী সংগঠনগুলো এ কর্মসূচি পালন করছে।
বগুড়া থেকে শুরু করে সান্তাহার, নওগাঁ হয়ে রাজশাহী পর্যন্ত প্রায় ১৩০ কিলোমিটারের এ রোডমার্চের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিএনপি মহাসচিব; গাড়িবহর থেকে হাত নেড়ে উত্তরবঙ্গের মানুষের প্রতি শুভেচ্ছা জানান তিনি।
এর আগে সকাল ১১টায় বগুড়ার চারমাথা এলাকায় অস্থায়ী মঞ্চে আসেন বিএনপির দুই শীর্ষ নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
এসময় বিএনপি মহাসচিব বলেন, সাঈদীর মতো খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে রেখে মারতে চায় সরকার।
সরকার সবকিছু চুরি করেছে, জনগণের ভোটাধিকার চুরি করে ২০২৪ সালে আবারও একতরফা নির্বাচনের পাঁয়তারা করছে তারা-তা আর হবে না এ কথা জানিয়ে ফখরুল বলেন, বিরোধী নেতাকর্মীদের মামলা ও গ্রেফতার আর সাজা দিয়ে বিরোধীমাঠ শূন্য করার চক্রান্ত করছে। এবার আর তা হতে দেয়া হবে না।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে আমীর খসরু বলেন, শহীদ জিয়ার জন্মভূমিতে (বগুড়া) দাঁড়িয়ে আমরা রোডমার্চ শুরু করেছি। বক্তব্য দিয়ে আর সময় নষ্ট করবো না, রাস্তায় থাকতে হবে আমাদের। রাস্তায় থেকে আমাদের দাবি আদায় করতে হবে, এই সরকারের পতন ঘটাতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ভোট চোরদের দিকে আমাদের চোখ রাখতে হবে, এই ভোটচোর কারা? এই ভোটচোরদের মধ্যে আছে দলীয় আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী, বিচার বিভাগের একটি অংশ, দুর্নীতিবাজসহ অনেকে। ভোট চোরদের শুধু আমেরিকার ভিসা বাতিল হবে না, এদেশেও তাদের ভিসাও বাতিল হবে।
জনগণের ভোটাধিকার ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিএনপির তিন সহযোগী সংগঠনগুলোর রোডমার্চের দৃশ্য। ছবি: মো. মাহদী ইসলাম ধ্রুব।
আজ রংপুর থেকে দিনাজপুর ও বগুড়া থেকে রাজশাহী পর্যন্ত তারুণ্যের রোডমার্চের মধ্য দিয়ে শেষ হচ্ছে বিএনপির তিন সহযোগী সংগঠনের দুদিনের কর্মসূচি। গতকাল শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রংপুরের গ্রান্ড হোটেল মোড়ে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয় এ রোডমার্চ।