সিলেবাসের সব পড়া ঝালাই করে পরীক্ষার খাতায় লেখার সময় দেখা যায় সব ভুলে বসে থাকতে হচ্ছে। কিছু মনে থাকে না, মাথায় ধরে না বলে পার পাওয়া যায় না। তাই বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে চেষ্টা করে যাওয়াটাই শ্রেয়।
বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত যে, সব মানুষের মস্তিষ্ক সমানভাবে কাজ করে না। আর মস্তিষ্কের কাজও কম নয়। প্রতিটা কোষ (নিউরন) এক একটা কাজ সম্পন্ন করে (অনুভূতি গ্রহণ, সিদ্ধান্ত নেয়া, মনে রাখা, ধারণ করা, চিন্তা করা, দেহের কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করা ইত্যাদি)।
তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মানুষ যেভাবে মস্তিষ্ককে নির্দেশনা দেয়, মস্তিষ্ক সেভাবেই কাজ করার চেষ্টা করে। তাই চলুন জেনে নিই নিজের মতো করে পড়া মনে রাখার উপায়গুলো–
ভোরে উঠে পড়া
ভোরে ঘুম থেকে উঠে পড়াশোনা করার চলমান ধারা যেন বিলীন হতে বসেছে। তবে মনে রাখবেন, রাতে ঘুমের পরে সকালে মস্তিস্কের কর্মক্ষমতা বেশি থাকে। তাই সকালের পড়াগুলো মনে থাকে সব সময়। এ জন্য বলা হয়, মুখস্ত করার মতো পড়াগুলো ভোরে উঠে পড়ার জন্য।
পড়ার পরে অবশ্যই লিখুন
পড়ার পরে চেষ্টা করুন লেখার। কেননা, পড়ার পরে সেগুলো লিখলে আপনার মনে থাকবে দীর্ঘদিন। যদি হাতে বেশি সময় না থাকে, সেক্ষেত্রে মূল পয়েন্টগুলো লিখতে পারেন। এতে আপনার নোটও করা হয়ে যাবে। পরে পড়ার ক্ষেত্রে এই পয়েন্টগুলো দেখলেই আপনার পুরো পড়াটি মনে পরে যাবে।
রিভিশন দেয়া
আজকে যা পড়বেন তা পরেরদিন নতুন পড়া শুরুর আগে অবশ্যই একবার রিভিশন দিয়ে নিতে হবে। তাহলে পড়াগুলো মনে থাকবে। কেননা আজকে যা পড়েছেন, সেটি যদি আপনি ১০ দিন পরে পড়তে যান তাহলে আপনার কাছে নতুনের মতো মনে হবে। এজন্য রিভিশনের বিকল্প নেই।
প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে পড়তে বসা
প্রতিদিন একটি সময়ে পড়াশোনা করলে মস্তিষ্ক অভ্যস্ত হয়ে যায় যে, এই সময় তাকে পড়াশোনা করতে হবে। আর পড়ার জন্য যদি আপনি আলাদা সময় রাখেন, এতে মনোযোগের ব্যত্যয় ঘটে না। তাই যে সময়ে আপনি পড়তে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন ঠিক সেই সময়েই পড়তে বসুন।
অন্যকে পড়ানো
নিজের পড়া কথপোকথনের মধ্যে দিয়ে অন্যের সঙ্গে শেয়ার করলে পড়া মস্তিষ্কে স্থায়ী হয়ে যায়। এ ছাড়া আপনি নিজের সহপাঠীদের নিজের পড়াটি বুঝিয়ে দিতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনি পড়াটি আর ভুলবেন না।