সকালে ঘুম থেকে উঠে কেউ কেউ চা কিংবা কফি মুখে দেন। এটি খুব একটা স্বাস্থ্যকর অভ্যাস নয়। আপনি চাইলে সকালে মৌসুমি ফলের জুস খেতে পারেন। তবে অবশ্যই সাইট্রাস জাতীয় ফল এড়িয়ে চলুন। কেননা সাইট্রাস ফলের মধ্যের অ্যাসিড আপনার শরীরে তাপ বা অম্লতা সৃষ্টি করতে পারে।
এ বিষয়ে পুষ্টিবিদ শিখা আগরওয়াল শর্মার মতে, শুধুমাত্র ফলের রস নয়, এর সঙ্গে আরও কিছু খাবার আছে যা সারাদিন আপনার শরীরকে চাঙা রাখতে পারে। এ ছাড়া আপনি যদি রক্তস্বল্পতা, ক্লান্তি, দুর্বলতা এবং হাড়ের দুর্বলতার মতো সমস্যায় ভুগে থাকেন, তাহলে নিচের বর্ণনাকৃত খাবারগুলো প্রতিদিন নিজের খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করুন।
চলুন জেনে নিই সকালে খালি পেটে কোন কোন খাবার খেলে আপনি সারাদিন চাঙা অনুভব করবেন-
গরম পনিতে মধু
সকালে খালি পেটে গরম পানির সঙ্গে মধু মিশিয়ে পান করার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা। কেননা, এতে রয়েছে খনিজ, ভিটামিন, ফ্ল্যাভোনয়েড এবং এনজাইম। যা আপনার পেট পরিষ্কার করতে কাজ করে। আর গরম পানির সঙ্গে মধু খেলে শরীরে জমে থাকা টক্সিন বের হয়ে যায় সহজেই।
ওটস
আপনি যদি ওজন কমাতে চান এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যায় ভোগেন, তাহলে সকালে আপনার অবশ্যই ওটস খাওয়া উচিত। এটি আপনার শরীর থেকে টক্সিন দূর করে এবং আপনার অন্ত্রকে সুস্থ রাখে। কম ক্যালরি এবং উচ্চ ফাইবারযুক্ত ওটস আপনার পেটকে দীর্ঘক্ষণ ভরা রাখবে।
ভেজানো বাদাম
বাদাম আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। আর ভেজানো বাদামে রয়েছে ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন ই, প্রোটিন, ফাইবার, ওমেগা-৩ এবং ওমেগা-৬, ফ্যাটি অ্যাসিড। যা আপনাকে সঠিক পরিমাণে পুষ্টি দেবে এবং আপনার মনকে ভালো রাখতে সাহায্য করবে। ভেজানো বাদাম খাওয়ার জন্য সারারাত ভিজিয়ে রাখতে হবে। এ ছাড়া বাদামের ত্বকে ট্যানিন থাকে যা আমাদের শরীরে পুষ্টির শোষণকে বাধা দেয়। সেজন্য এগুলো খাওয়ার আগে সবসময় খোসা ছাড়িয়ে নিতে হবে।
পেঁপে
আপনি যদি কোষ্ঠকাঠিন্য বা পাইলস রোগী হন, তবে এটি মলত্যাগের জন্য সর্বোত্তম উপায়। খালি পেটে পেঁপে খেলে অন্ত্র পরিষ্কার ও শক্তিশালী হয়। এই হলুদ ফলটি শুধু শরীর থেকে টক্সিন বের করে দিতেই সাহায্য করে না খারাপ কোলেস্টেরল কমাতেও সাহায্য করে।
তরমুজ
সকালের নাশতার তালিকার শীর্ষে থাকে তরমুজ। ৯০% পানি দিয়ে তৈরি এই ফলটি শরীরকে পানিশূন্যতা থেকে রক্ষা করে। এটি শুধুমাত্র মিষ্টি খাওয়ার লোভ কমায় না কিন্তু ক্যালোরির মাত্রাও কমে। তরমুজ ইলেক্ট্রোলাইট সমৃদ্ধ এবং এতে লাইকোপিন রয়েছে যা হৃদয় ও চোখের স্বাস্থ্যকে বাড়িয়ে তোলে।
সূত্র: হেলথলাইন