শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি এমপি একটি সমন্বিত এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক পদ্ধতির মাধ্যমে বিদ্যমান শিক্ষাব্যবস্থাকে সমৃদ্ধ ও রূপান্তরিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) ইউনেস্কো সদর দফতরে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস ২০২৩ উপলক্ষে আয়োজিত একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে বক্তৃতা করেন তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিদ্যমান শিক্ষার ক্ষেত্রগুলোকে একটি সমন্বিত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক পদ্ধতির মাধ্যমে সমৃদ্ধ ও রূপান্তরিত করতে হবে যাতে আজীবন সাক্ষরতা অর্জন করতে কেউ পিছিয়ে না থাকে।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ট্রান্সফর্মিং এডুকেশনের উচ্চপর্যায়ের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য হিসেবে সম্মেলনে যোগ দেন।
সম্মেলনের মূল বিষয় ছিল পর্যাপ্ত অর্থায়নের মাধ্যমে যুব ও প্রাপ্তবয়স্কদের সাক্ষরতার ওপর গুরুত্ব দিয়ে এসডিজির টার্গেট ৪.৬ অর্জন করা, যা জীবনব্যাপী শিক্ষার সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করার প্রোগ্রাম, বিষয়বস্তু ও অনুশীলনগুলো কার্যকর করবে।
তিনি উল্লেখ করেন, আমাদের বিশ্ব, সমাজ, জাতিতে দ্বন্দ্ব নিরসনের জন্য শিক্ষাই শ্রেষ্ঠ আশা। আমাদের সমাজের সচেতনতাসহ সমালোচনামূলক মন আছে এমন দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন স্তরের মানুষকে সহায়তা করতে হবে। তাদের রূপান্তরমূলক ভূমিকাই টেকসই ও শান্তিপূর্ণ সমাজের ভিত্তি গড়ে তুলবে।
সাক্ষরতা আন্দোলনকে শক্তিশালী করার জন্য তিনি স্টেকহোল্ডার এবং সম্প্রদায়, বিশেষ করে যুবকদের সম্পৃক্ত করার ধারণাটি চালু করার কথা জোর দিয়ে বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী সম্মেলনে সাক্ষরতা প্রসারে বাংলাদেশে গৃহীত উদ্যোগের কথাও তুলে ধরেন। তিনি জানান, ২০২৩ সালের সাক্ষরতা মূল্যায়ন সমীক্ষায় সাক্ষরতার হার ২০১১ সালে ৫৩.৭০% থেকে ২০২৩ সালে ৭৩.৬৯%-এ উন্নীত হওয়া আশাব্যঞ্জক অগ্রগতি প্রকাশ করছে।
দীপু মনি জনগণের জন্য একটি ভালো আগামীকে সুরক্ষিত করতে এবং ক্রান্তিকালীন ও রাজনৈতিক প্রতিবন্ধকতা থেকে তাদের রক্ষা করার জন্য রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি পুনর্নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।