অবশেষে শুরু হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ও শক্তিশালী দেশগুলোর জোট জি-২০-এর এবারের শীর্ষ সম্মেলন। আজ শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে এক রাজকীয় আয়োজনের মধ্য দিয়ে নয়াদিল্লির সম্মেলনস্থল ‘ভারত মন্ডপমে’ বিশ্বনেতাদের স্বাগত জানান ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
শনি ও রোববার নয়াদিল্লিতে এবারের জি-২০ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এই সম্মেলনের আয়োজক দেশ জোটের সভাপতি ভারত। সম্মেলনে যোগ দিতে এরই মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানরা দিল্লিতে জড়ো হয়েছেন।
গতকাল শুক্রবার নয়াদিল্লির আসার পরপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেছেন মোদি। বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকের পর দুই দেশের নেতা একটি যৌথ বিবৃতিও দিয়েছেন। এ ছাড়া আজ সম্মেলনের অবসরে যুক্তরাজ্য, জাপান, জার্মানি, ইতালিসহ আরও কয়েকটি দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে মোদির বৈঠক করার কথা রয়েছে।
সম্মেলনস্থলে বিশ্বনেতাদের সম্মানে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করবেন মোদি। এ ছাড়া আজ রাতে তাদের সম্মানে গালা ডিনারের আয়োজন করবেন ভারতীয় রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।
এই সম্মেলেনে বিশ্বনেতারা বৈশ্বিক সমস্যার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করবেন। বরাবরের মতো এবারের সম্মেলনের আলোচনায় বড় অংশজুড়ে থাকবে ইউক্রেন যুদ্ধ। তবে গত বছর ইন্দোনেশিয়ার বালি সম্মেলনে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে কোনো ঐক্যমত্যে পৌঁছাতে পারেনি বিশ্বনেতারা। এরপর থেকে তাদের মধ্যে এই মতবিরোধ বেড়েছে।
পশ্চিমারা ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়ার নিন্দা করে জি-২০ প্রস্তাব গ্রহণ করতে চাইলেও আপত্তি রয়েছে মস্কো ও বেইজিংয়ের। এমনকি এবারের সম্মেলনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং যোগদান পর্যন্ত করেননি। ফলে এবারের সম্মেলনে সর্বসম্মতভাবে দিল্লি ঘোষণাপত্র গৃহীত হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।