কুড়িগ্রামের রাজারহাটে মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে চালকসহ দুই আরোহীর মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও এক আরোহী। গতকাল বুধবার বিকেলে উপজেলার বৈদ্যের বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটলে আহতদের রংপুর মেডিকেলে নেওয়ার পর দুজনের জনের মৃত্যু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজারহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লা হিল জামান। তিনি বলেন, ‘দুই যুবক নিহতের ঘটনায় তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে পৃথক দুটি অপমৃত্যু মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে।’
নিহতেরা হলেন—উলিপুর উপজেলার পৌর এলাকার সরদার পাড়ার শের আলীর ছেলে মনিরুজ্জামান পাভেল (৩১) ও একই উপজেলার উত্তর দলদলিয়া এলাকার আজিজুল হকের ছেলে হোসেন আলী (৩৩)।
আহত যুবক উপজেলার হায়াৎ খাঁ এলাকার বাসিন্দা মারজান (২৮)। তিনি বর্তমানে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
নিহত পাভেলের বড় ভাই ময়নুল ইসলাম পারভেজ বলেন, ‘বুধবার বিকেলে দুই ভাই এক সাথে চা খেয়েছি। ওকে আমাদের ফার্মেসিতে বসতে বলে বাড়ি গেছিলাম। সে দোকানে গিয়ে ছেলেদের বলেছে, একটু যাব আর আসব। এই বলে ওরা তিনজন মোটরসাইকেলে করে বের হয়। কোথায় যাচ্ছিল জানি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ওর ফোন থেকে একজন ফোন করে জানায় যে মোটরসাইকেল অ্যাক্সিডেন্ট করেছে। পরে আমরা ছুটে যাই। কিন্তু রাতে ওর লাশ নিয়ে বাড়ি ফিরলাম।’
দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও আহত যুবকের বরাতে পারভেজ আরও বলেন, ‘ওরা বৈদ্যের বাজারে গিয়ে তিনজন চা খেয়েছিল। পরে আবার মোটরসাইকেলে উঠে রওনা হয়। কিন্তু ভুলে মোটরসাইকেলের স্ট্যান্ড তোলেনি। কিছু দূর গিয়ে মোড় ঘোরার সময় সড়কে সঙ্গে স্ট্যান্ডের ধাক্কা লেগে তিনজনই ছিটকে পড়ে।’
পারভেজ আরও বলেন, ‘মোটরসাইকেল চালাচ্ছিল হোসেন আলী। সে ও পাভেল সড়কের পাশে বৈদ্যুতিক খুঁটি ও একটি কংক্রিটের পিলারে ধাক্কা খায়। তিনজনকেই প্রথমে রাজারহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দিয়ে রংপুর মেডিকেলে নেওয়া হয়। হাসপাতালে পৌঁছে জানতে পারি পাভেল মারা গেছে। পাভেলের লাশ নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে রাত ৯টার দিকে জানতে পারি, হোসেন আলীও মারা গেছে।’