প্রধান সামরিক কর্মকর্তা থেকে বন্দুকের নল ঠেকিয়ে প্রেসিডেন্ট হওয়া এবং পরবর্তীতে সাংবিধানিক বৈধতা পেতে ১৯ দফা অর্থনৈতিক কর্মসূচীর ভিত্তিতে ‘জাগদল’ নামে রাজনৈতিক দল গঠন করেন জিয়াউর রহমান। সেই প্রক্রিয়ায় জিয়াউর রহমানের হাত ধরে শেষ পর্যায়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বা বিএনপির জন্ম হয় ১৯৭৭ সালের ১লা সেপ্টেম্বর। কিন্তু বাংলাদেশকে কী দিয়েছে “বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল” বিএনপি?
রাজনৈতিক শূন্যতা সৃষ্টি ও বিএনপির জন্ম
- বঙ্গবন্ধু হত্যায় সম্পৃক্ততা ও মোশতাককে সমর্থন–সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন বাংলাদেশের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার প্রাসাদ ষড়যন্ত্রে জিয়াউর রহমানের সম্পৃক্ত ছিল এবং খুনি মোশতাক সরকারকে সমর্থন দিয়ে ২৪ আগস্ট রাতারাতি সেনাপ্রধান হয়েছিলেন জিয়াউর রহমান।
- জাতীয়চার নেতা হত্যা– জিয়াউর রহমানের প্রচ্ছন্ন নির্দেশেই ৩রা নভেম্বর জেলহত্যা ঘটে, ৭ই নভেম্বর পরবর্তী ধরপাকড় আর গ্রেফতার হত্যার মাধ্যমে রাজনীতি থেকে শুরু করে সেনাবাহিনীর ফ্রন্টলাইনে যারা ছিলেন তাদের সবাইকে সরানো হয়।
- সশস্ত্র বাহিনীতে গণহত্যা–জেনারেল জিয়াউর রহমানের আমলে ছোট-বড় ২১টি অভ্যুত্থান ঘটেছে বলে গবেষক ও বিশ্লেষকদের লেখায় তথ্য পাওয়া যায়। কেউ কেউ বলেন সামরিক অভ্যুত্থান হয়েছিল ২৬টি। এসব অভ্যুত্থানের পর নামমাত্র বিচারে কতজনকে ফাঁসি দেয়া হয়েছে, তার তালিকা করা দুঃসাধ্য। শুধু ১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবর বিমানবাহিনীর সদস্যদের ব্যর্থ অভ্যুত্থানেই ফাঁসি ও ফায়ারিং স্কোয়াডে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় ১৩০০ জনের বেশি সেনাকে। এর মাধ্যমে সামরিক বাহিনীতে পাকিস্থানপন্থি অফিসার এবং জিয়াউর রহমানের প্রতি বিশ্বস্থ অফিসারদের নিরংকুশ সংখাধিক্যতা নিশ্চিত করা হয়। জিয়ার সেই ক্যাঙ্গারু কোর্টের থি পত্রের প্রমাণ সব পরবর্তীতে পুড়িয়ে নিশ্চিহ্ন করে ফেলা হয়। শুধুমাত্র বিমানবাহিনীতেই ৪৬০ জনের বিচার করা হয়। যার মধ্যে কোন শুনানি বাদে সরাসরি ফাঁসির আদেশ দিয়ে সেই রাতেই ফাঁসি নিশ্চিত করা হয় ৩৭ জনের, ২০ জন যাবজ্জীবন সাজা পান, ৬৩ জন খালাস পান। বাকি ৩৪০ জনের ভাগ্যে কি ঘটেছিল তা কেউই আজ পর্যন্ত বলতে পারেনি। তাদের লাশও খুঁজে পাওয়া যায়নি।
- মোশতাককে সরিয়ে আবু সায়েমকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা–পরবর্তীতে খন্দকার মোশতাক আহমদকেও রাষ্ট্রপতির পদ ছেড়ে দিতে বাধ্য করা হয় এবং ১৯৭৫ সালের ৬ নভেম্বর প্রধান বিচারপতি আবুসাদাত মোহাম্মদ সায়েমকে দৃশ্যপটে আনেন জিয়াউর রহমান। নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন বিচারপতি আবুসাদাত মোহাম্মদ সায়েম।
- বন্দুকের নলের উপর ক্ষমতা গ্রহণ–রাষ্ট্রপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েমের কাছ থেকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসকের পদ কেড়ে নেন এবং সবশেষে বন্দুকের নলের মুখে মোহাম্মদ সায়েমকে ক্ষমতাচ্যুত করে নিজেই প্রেসিডেন্ট বনে যান। ১৯৭৭ সালের ২১ এপ্রিল অস্ত্রসস্ত্রসহ বঙ্গভবনে প্রবেশ করে ক্ষমতা দখল করেছিলেন জিয়াউর রহমান যার ভয়াবহ বর্ণনা উঠে এসেছে অপমানজনকভাবে ক্ষমতা হারানো প্রেসিডেন্ট আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েমের লেখা ‘অ্যাট বঙ্গভবন লাস্ট ফেইজ’ বইয়ে।
রাজনৈতিক মতাদর্শহীনতা
- দলছুটদের নিয়ে বিএনপি গঠিত– অধ্যাপক বদরুদ্দেজা চৌধুরী বলছিলেন, ‘নানান স্রোত থেকে লোক এসে বিএনপি প্রতিষ্ঠা করল। ফলে এটা কোন মতাদর্শগতভাবে গড়ে উঠেছে, তা আমরা বলতে পারব না। গড়ে ওঠার পরে তারা একটা রাজনৈতিক আদর্শের কথা বলছে, যেটা তারা বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের কথা বলছে। এটা কিন্তু আগে নির্ধারিত কিছু ছিল না। এটা নিজেদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য আইএসআইয়ের প্রেসেক্রিপশনে তারা তৈরি করেছিল।
- মতাদর্শে ভারতবিরোধীতা–বিএনপির সাবেক মহাসচিব অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরী এ বিষয়ে বিএনপির অবস্থান তুলে ধরেছেন। তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ এক ধরনের রাজনীতি করছে, তার সাথে ভারতের একটা সম্পর্ক ছিল মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়েই। কাজেই অন্য যারা রাজনীতিতে আসবে, তাদের পার্থক্য দেখানোর জন্য ভারত বিরোধিতার অবস্থানে যাওয়া দরকার ছিল। আমার মনে হয় না, সেটা পরিস্কার কোন চিন্তা থেকে করা হয়েছিল।’’
- স্বাধীনতাবিরোধীদের শক্ত অবস্থান–জিয়াউর রহমান ইসলামপন্থীদের অগ্রাধিকার দিয়ে ভুল রাজনীতির সূচনা করেছিল। স্বাধীনতাবিরোধী যারা ছিল তারা জিয়াউর রহমানের হাত ধরেই বাংলাদেশে নিজেদের অবস্থান শক্ত করেছিল। মতাদর্শ আলাদা বিএনপির কখনোই ছিল না, প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই তারা স্বাধীনতাবিরোধীদের মতাদর্শে ছিল।
মুক্তিযুদ্ধ প্রশ্নে বিভক্তি ও ইতিহাস বিকৃতি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরে ইংরেজী বিভাগের শিক্ষক সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম বলছিলেন, “বিএনপি প্রতিষ্ঠার পরই মুক্তিযুদ্ধের সামগ্রিক ইতিহাসকেই ভিন্নভাবে উপস্থাপনের কারণে বিভাজন সৃষ্টি হয়। শুধুমাত্র জিয়াকে ইতিহাসের নায়ক, মুক্তিযুদ্ধের বিশাল যোদ্ধা হিসাবে প্রতিষ্ঠা করে জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা তৈরির লক্ষ্যে বিএনপি নামক দলটির তরফ থেকে মিথ্যা ইতিহাস সৃষ্টি ও সত্যকে ধামাচাপা দেয়ার একটা প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়, যার কারণে দেশে লম্বা সময়ের ইতিহাস বিমুখতা ও অবিশ্বাস তৈরি হয়েছিল।”
গণতন্ত্রের উল্টরথ যাত্রা
জিয়াউর রহমান তার জীবদ্দশায় গণতন্ত্রের কোন চর্চাই করেননি, যা উপরেই উল্লেখ করা হয়েছে। বন্দুকের নলের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা থেকে শুরু করে বিএনপির প্রতিষ্ঠা সর্বক্ষেত্রেই গণতন্ত্রহীনতা ছিল লক্ষণীয়। পরবর্তীতে বেগম খালেদা জিয়াও গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছেন। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি যে প্রহসনের নির্বাচন করেছিল খালেদা জিয়া সরকার, তা নজিরবিহীন।
ধর্মভিত্তিক রাজনীতির প্রচলন
- বিএনপি ধর্মভিত্তিক বা চরম ডানপন্থী দলগুলোকে জায়গা করে দিয়ে শক্তি যুগিয়েছে এই দেশে। এর থেকে বিএনপি বেরিয়ে আসতে পারবে না। জিয়াউর রহমান থেকে শুরু খালেদা জিয়াও সেই ধর্মভিত্তিক রাজনীতি ধরে রেখেছে। খালেদা জিয়া যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষমতায় এনেছে। পরবর্তীতে তারেক জিয়াও এই উগ্রবাদী রাজনীতিকে আম্রয় করে জঙ্গীবাদের বিস্তার ঘটিয়ে একুশে আগস্টের নারকীয় গ্রেনেড হামলা ঘটিয়েছিল।
- মুক্তিযুদ্ধবা এর পরবর্তী সময়ে ধর্মনিরপেক্ষতা, জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র আর গণতান্ত্রিক ধারায় এগুতে থাকা বাংলাদেশের রাজনীতিতে ধর্মভিত্তিক রাজনীতির শুরুটা হয় সামরিক শাসক জিয়ার হাত ধরে। সকল যুদ্ধাপরাধী ও রাজাকারদের মুক্তি দিয়ে, বঙ্গবন্ধু ও জেল হত্যায় জড়িতদের ইন্ডেমনিটি দিয়ে এদের সবাইকে রাজনীতিতে যুক্ত করেন তিনি। গোলাম আযমকে বাংলাদেশ ফিরিয়ে আনেন ১৯৭৮ সালে, তার হাত ধরে যুদ্ধাপরাধী দল “বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী” হয় শক্তিশালী। দায়মুক্তদের নিয়ে ১৯৮০ সালে গঠিত হয় “ফ্রিডম পার্টি”।
- জিয়ানিশ্চিত ছিল বিপ্লব ও প্রতিবিপ্লব আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে পশ্চিম পাকিস্থান থেকে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ ছিনিয়ে আনা রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে তার কর্তৃত্ববাদী রাজনীতি গ্রহণযোগ্যতা পাবে না। তাই জিয়া বেছে নিয়েছিল ধর্মীয় অনুভূতিকে এবং সহযোগী দল হিসাবেও বেছে নিয়েছিল ধর্মীয় অনুভূতিসম্পন্ন দল। তার এই ধারা বিএনপি আজও বলবৎ রেখেছে।
- বিএনপি নেতাদের অনেকেই বলেছে, ধর্মীয় মূল্যবোধ সমুন্নত রাখাসহ কিছু বিষয়ে জোটের শরিকদের সাথে বিএনপির মিল থাকায় এটাকে তারা আদর্শিক জোট হিসেবে দেখছেন। কিন্তু দলটি নিজের আদর্শ বা স্বকীয়তা বজায় রাখবে এবং চরম ডানপন্থার দিকে এগুবে না বলেই তাদের দাবি। অথচ আমরা দেখেছি এই ধর্মীয় উগ্রবাদকে এমন এক জায়গায় বিএনপি নিয়ে গিয়েছিল যেখানে বাংলা ভাইদের উত্থান ঘটেছিল। দেশব্যাপী হয়েছিল বোমা হামলা।
যুদ্ধাপরাধী আর রাজাকারদের রাজনীতিতে পুনর্বাসন
- ১৯৭২সালে প্রনীত দালাল আইনে ১৯৭৩ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ২৮৮৪টি মামলা রজু করা হয়। মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপকর্ম আর দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের জন্য আটক করা হয়েছিল ৩৭ হাজারেরও বেশী রাজাকার, যুদ্ধপরাধী ও পাকিস্থানের দোসরদের। পরবর্তীতে ৪টি অপরাধ বাদে ছোটখাটো অপরাধের জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হয়। বঙ্গবন্ধুর শাসনামলে পরিচালিত মামলায় সারাদেশে ৭৩ টি যুদ্ধাপরাধী ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে বাকি ২ হাজার ৮৪৮ জনের বিচার হয়। যার মধ্যে ৭৫২ জনের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ প্রমাণিত হয় এবং তাদের মৃত্যুদন্ড যাবজ্জীবন সহ বিভিন্ন মেয়াদের সাজা দেয়া হয়।
- ১৯৭৫সালের ৩১শে ডিসেম্বর জিয়াউর রহমান দালাল আইন বাতিল করে যুদ্ধপরাধীদের বিচার কার্যক্রম বন্ধ করে দেন এবং বড় বড় অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত ৭৫২ জন সহ বিচারাধীন ১১ হাজার অপরাধীকে মুক্ত করে দেন। এদের মধ্যে নেতৃত্বস্থানীয়দের রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করেন ধর্মভিত্তিক ইসলামী দল হিসাবে, যাদের উত্তরসুরিরা আজও বাংলাদেশকে নিজেদের দেশ হিসাবে স্বীকার করে নিতে পারেনি। প্রতিষ্ঠাতার সেই ধারা বজায় রেখে দেশবিরোধী সাজাপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধীরা আজও বিএনপির সবচেয়ে বড়ো সহযোগী শক্তি, সে হোক ক্ষমতার বা আন্দোলন সংগ্রামের।
বাংলাদেশে পাকিস্তান তথা আইএসআই–এর প্রভাব বৃদ্ধি
বাংলাদেশে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি, মওদুদপন্থী জামাত-শিবির এবং আরাকানে ও পার্বত্য চট্টগ্রামের মাধ্যমে ভারতে সেভেন সিস্টার্সে অস্থিরতা সৃষ্টি, বাংলাদেশে ভারতের গ্রহণযোগ্যতা হ্রাস, এগুলো সবই ছিল আইএসআই-এর প্রধান লক্ষ্য। এই সব কয়টি লক্ষ্য পূরণেই আইএসআইকে সহয়তা করেছে বিএনপি, এবং বাংলাদেশে তাদের অপারেশনকে শক্তিশালী করেছে।
মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশ নিয়ে আইএসআই-এর সমস্ত ভাবনা বদলে যায়। তাদের অপারেশনগুলো দেখলে এবং সেই অপারেশন কার মাধ্যমে বাস্তবায়ন হয়েছিল সেটা স্টাডি করলেই বোঝা যায়। এক্ষেত্রে জিয়াউর রহমানের ভূমিকা লক্ষণীয়
১। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যা
২। ১৯৭৫ সালের ৩রা নভেম্বর জেল হত্যা
৩। হত্যাকারীদের দায়মুক্তি দিয়ে পালাতে সাহায্য করা এবং পুনর্বাসন করা।
৪। পচাত্তর পরবর্তী সংবিধান থেকে “সমাজতন্ত্র” ও “ধর্মনিরপেক্ষতা” বাদ দেয়া।
৫। সশস্ত্রবাহিনীতে মুক্তিযোদ্ধা হত্যা।
৬। ধর্মভিত্তিক রাজনীতি চালু করে জামায়েতে ইসলামসহ ইসলামী দলগুলোর রাজনৈতিক বৈধতা
৭। গোলাম আযমকে পাকিস্থানি পাসপোর্ট দিয়ে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা।
৮। পার্বত্য চট্টগ্রামে সেটেলার স্থাপন করে রাজনৈতিক ও জাতিগত বিভেদ তৈরির মাধ্যমে আইএসআই এর হাব নিশ্চিত রাখা। পরবর্তীতে সেখানে সেনা মোতায়েনের মাধ্যমে জায়গাটিকে অবরুদ্ধ করে রাখা।
এছাড়াও আইএসআই এর সাবেক চিফের স্বীকারোক্তিতে ১৯৯১ সালের নির্বাচন করতে দুই দফায় বিএনপিকে ১৪০ মিলিয়ন ও ৫০ মিলিয়ন রুপি প্রদানের বিষয়টি উঠে এসেছে। আইএসআই যে দুইটি উইং এর মাধ্যমে বাংলাদেশে তাদের অপারেশন জারী রেখেছে তার মধ্যে একটি দল হচ্ছে বিএনপি এবং অন্যটি জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ।
ইসলামিক জঙ্গিবাদ ও মৌলবাদের আমদানী
- আইএসআইসংশ্লিষ্টতার কারণে তালেবানি ও পাকিস্তানি জঙ্গী সংস্কৃতি বাংলাদেশে সহজেই ঢুকেছে এই বিএনপির হাত ধরেই।
- আইএসআইএই একই ফর্মূলায় আফগানিস্থান, কাশ্মির, ভারতসহ বিভিন্ন অঞ্চলে মৌলবাদের যোগান দিয়েছে। বাংলাদেশে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর ওপর বোমা হামলা, রমনা বটমূলে বোমা হামলা, গোপালগঞ্জে বোমা পুঁতে শেখা হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা, ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা, সারাদেশে সিজির বোমা হামলা, শাহ এমএস কবরিয়া হত্যা, আহসানুল্লাহ মাস্টার হত্যা, “জাগ্রত মসলিম জনতা”র বাংলা ভাইয়ের উত্থান, হারকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি হান্নান, জিন্দাল, আর ১০ ট্রাক অস্ত্রের মতো এই আমদানীর সুযোগ করে দিয়েছে দীর্ঘদিনের সঙ্গী বিএনপি-জামাত।