প্রতারণা করে বিয়ে, অপহরণ ও ধর্ষণের দায়ে করা মামলায় নাটোরে একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। আজ মঙ্গলবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. আব্দুর রহিম এই আদেশ দেন। একই সঙ্গে তাকে ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি হলেন আহম্মদ আলী। তিনি নাটোর জেলার লালপুর উপজেলার কদিমচিলান ইউনিয়নের গোধরা গ্ৰামের বাসিন্দা।
নাটোর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০০৩ সালের ১২ জুন আসামি আহম্মদ আলী (৪৬) নিজের পরিচয় গোপন করে ভিকটিমকে বিয়ে করেন। পরে আহম্মদ আলী ভিকটিমকে পাচারের উদ্দেশ্যে নাটোর শহরের নিয়ে আসেন। সেখানে আসামি আহম্মদ আলী তাকে ধর্ষণ করে। পরে ১৯ জুন ভিকটিমের বাবা আত্মীয়-স্বজন অনেক খোঁজাখুঁজি করে তাকে শহরের গাড়িখানা গোরস্থান এলাকার একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে আহম্মদ আলীর বিরুদ্ধে প্রতারণা করে বিয়ে, অপহরণ এবং ধর্ষণের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ ২০ বছর পর শুনানি শেষে আজ মঙ্গলবার আদালত আসামি আহম্মদ আলীকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ এবং একই সঙ্গে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।