রাশিয়ার ভাড়াটে যোদ্ধা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিনের মৃত্যু নিয়ে নিজেদের মূল্যায়ন জানিয়েছে যুক্তরাজ্য। বলেছে, ওয়াগনার প্রধান প্রিগোজিন ‘খুব সম্ভবত’ মারা গেছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত তার মৃত্যুর ব্যাপারে সুস্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়নি। খবর রয়টার্সের।রুশ কর্তৃপক্ষ বলেছে, গত বুধবার (২৩ আগস্ট) মস্কোর উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে বিমান বিধ্বস্ত যে ১০ জন মারা গেছে, তাদের তালিকায় ওয়াগনার প্রধান প্রিগোজিনের নামও রয়েছে।
কি ঘটেছে তা খতিয়ে দেখতে এরই মধ্যে তদন্ত শুরু করেছেন রুশ কর্মকর্তারা। কিন্তু এখন পর্যন্ত বিধ্বস্ত বিমান থেকে উদ্ধার হওয়া ১০ মরদেহের পরিচয় নিশ্চিত করেনি।
অবশ্য রুশ সংবাদমাধ্যম সারগ্রাদ টিভি দাবি করেছে, ওয়াগনার প্রধানের মরদেহ প্রাথমিকভাবে শনাক্ত হয়েছে। তবে ডিএনএ বিশ্লেষণের কাজ এখনও বাকি। এদিকে প্রিগোজিনের মৃত্যু সমবেদনা জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
বলেছেন, প্রিগোজিনের সঙ্গে আমার পরিচয়, জানাশোনা বহুদিনের। ৯০ দশকের শুরুর দিকে তার সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। নিজের জীবনে তিনি মারাত্মক কিছু ভুল করেছিলেন এবং সেসবের ফলও পেয়েছেন।
ওয়াগনার প্রধানের মৃত্যুর বিষয় নিয়ে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও। বলেছেন, বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় প্রেসিডেন্ট পুতিনের হাত থাকতে পারে বলে মনে করেন তিনি। বাইডেন আরও বলেন, এই রুশ ভাড়াটেকে (প্রিগোজিন) লক্ষ্যবস্তু করা হয়ে থাকলে, তিনি অবাক হবেন না।
শুক্রবার (২৫ আগস্ট) ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এখনও নিশ্চিত প্রমাণ নেই যে, প্রিগোজিন ওই বিমানে ছিলেন। তাছাড়া তিনি ব্যতিক্রমী নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য পরিচিত ছিলেন। যাইহোক, এটা খুবই সম্ভব যে তিনি সত্যিই মারা গেছেন।’
ওয়াগনার প্রধানের সম্ভাব্য মৃত্যু নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকও। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘খুব সম্ভবত’ প্রিগোজিন ওই বিমানে ছিলেন যেটা গত বুধবার মস্কোর কাছে বিধ্বস্ত হয়েছে।’
Subscribe to Updates
Get the latest creative news from FooBar about art, design and business.
ওয়াগনার প্রধানের মৃত্যু নিয়ে এখনও সুস্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়নি: যুক্তরাজ্য
Related Posts
Add A Comment